Ticker

5/recent/ticker-posts

যাদের কোন ভয়ভীতি নেই এবং যারা দুঃখিতও হবেনা


নিঃসন্দেহে যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে এর সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না। -[সূরা বাকারাহ, আয়াত-৬২]

এখানে উল্লেখিত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যারা তাদের নবীগণের অনুসারী ছিলেন তাদের প্রতিদানের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ যুগে যুগে যারা আল্লাহর প্রেরিত নবী-রসূলগণের অনুসরণ করেছে তাদের জন্য এ সুসংবাদ যে তারা প্রাপ্ত হবে অন্তহীন শান্তি এবং ভবিষ্যতের কোন আশংকার জন্য তারা ভীত হবেনা, আর অতীতে কোন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য তারা দুঃখিতও হবেনা।

ইবনে আব্বাস (রা) হতে ইবনে আবি হাতিম (রহ) বর্ণনা করেন যে, উপরোক্ত আয়াতের পর আল্লাহ তা'আলা এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন যে- 'যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।' -(সূরা আল ইমরান, আয়াত - ৮৫)

অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সা) এর নবুওয়াত এর পর সমগ্র মানবজাতিকে তাঁর অনুসরণ করতে হবে এবং আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ইসলামকে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে মেনে নিতে হবে। সে মুসলিম হোক কিংবা ইয়াহুদী হোক কিংবা খ্রীষ্টান হোক তাকে জান্নাতে যেতে হলে নবী মুহাম্মাদ (সা) এর দ্বীন অনুসরণ করতে হবে। তখনই তারা উপরে বর্ণিত সুসংবাদ পাওয়ার যোগ্য হবে আর হয়ে উঠবে আল্লাহর প্রিয়জন। যেমনটি কুরআনুল কারীমের বহু যায়গায় বর্ণিত রয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন-

জেনে রেখো! যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। -(সূরা ইউনুস, আয়াত - ৬২)
নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন। -(সূরা হা-মীম সাজদাহ, আয়াত - ৩০)


তথ্যসূত্র:
  • তাফসীর ইবনে কাসীর

প্রাসঙ্গিক বিষয়:


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ