بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
১.
يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ
হে বস্ত্রাবৃত (ব্যক্তি)!
২.
قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا
রাত্রিতে দন্ডায়মান হও কিছু অংশ বাদ দিয়ে;
৩.
نِصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا
অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম,
৪.
أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে ও স্পষ্টভাবে।
৫.
إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا
আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
৬.
إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْءًا وَأَقْوَمُ قِيلًا
নিশ্চয়ই ইবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা আত্মসংযমে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
৭.
إِنَّ لَكَ فِي اَلنَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا
দিবাভাগে রয়েছে তোমার দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
৮.
وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا
কাজেই তুমি তোমার পালনকর্তার নাম স্মরণ কর এবং একাগ্রচিত্তে তাঁর প্রতি মগ্ন হও।
৯.
رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلًا
(তিনি) পূর্ব ও পশ্চিমের অধিকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই তোমার কার্যসম্পাদনকারী হিসেবে গ্রহণ কর।
১০.
وَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا
তারা (কাফিররা) যা বলে, তজ্জন্যে তুমি সবর কর এবং ভদ্রতার সাথে তাদেরকে পরিহার করে চল।
১১.
وَذَرْنِي وَالْمُكَذِّبِينَ أُولِي النَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيلًا
বিত্ত-বৈভবের অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দাও এবং তাদেরকে কিছুটা সময় অবকাশ দাও।
১২.
إِنَّ لَدَيْنَا أَنكَالًا وَجَحِيمًا
নিশ্চয়ই আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড।
১৩.
وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَعَذَابًا أَلِيمًا
আর গলায় আটকে যায় এমন খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
১৪.
يَوْمَ تَرْجُفُ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ وَكَانَتِ الْجِبَالُ كَثِيبًا مَّهِيلًا
(এসব শাস্তি দেয়া হবে) যেদিন পৃথিবী আর পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পর্বতসমূহ হয়ে যাবে বহমান বালুকারাশি।
১৫.
إِنَّا أَرْسَلْنَا إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَا أَرْسَلْنَا إِلَى فِرْعَوْنَ رَسُولًا
আমি তোমাদের কাছে তেমনিভাবে একজন রসূলকে তোমাদের জন্য সাক্ষী রূপে প্রেরণ করেছি, যেমন প্রেরণ করেছিলাম ফেরাউনের কাছে একজন রসূল।
১৬.
فَعَصَى فِرْعَوْنُ الرَّسُولَ فَأَخَذْنَاهُ أَخْذًا وَبِيلًا
তখন ফেরাউন সেই রসূলকে অমান্য করল, ফলে আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছি।
১৭.
فَكَيْفَ تَتَّقُونَ إِن كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيبًا
অতএব, তোমরা যদি (এ রসূলকে) অস্বীকার কর তোমরা কিরূপে সেদিন আত্মরক্ষা করবে যেদিন বালককে করে দিব বৃদ্ধ?
১৮.
السَّمَاء مُنفَطِرٌ بِهِ كَانَ وَعْدُهُ مَفْعُولًا
সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে, আল্লাহর ওয়াদা পূর্ণ হয়ে যাবে।
১৯.
إِنَّ هَذِهِ تَذْكِرَةٌ فَمَن شَاء اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ سَبِيلًا
এটা উপদেশ। অতএব, যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার দিকে পথ অবলম্বন করুক।
২০.
إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدْنَى مِن ثُلُثَيِ اللَّيْلِ وَنِصْفَهُ وَثُلُثَهُ وَطَائِفَةٌ مِّنَ الَّذِينَ مَعَكَ وَاللَّهُ يُقَدِّرُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ عَلِمَ أَن لَّن تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ فَاقْرَؤُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ عَلِمَ أَن سَيَكُونُ مِنكُم مَّرْضَى وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِن فَضْلِ اللَّهِ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَاقْرَؤُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
তোমার পালনকর্তা জানেন, তুমি কখনও ইবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হও রাত্রির দু’তৃতীয়াংশ, কখনও অর্ধাংশ, কখনো এক তৃতীয়াংশ, তোমার সঙ্গীদের একটি দলও (তাই করে)। আল্লাহই দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পারবে না। কাজেই তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হয়েছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর (পড়)। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। কাজেই কুরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু পাঠ কর, আর নামায কায়িম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।