Ticker

5/recent/ticker-posts

কুরআন নাযিল

কুরআনুল কারীম আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা'আলার পক্ষ হতে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর নাযিলকৃত আসমানী কিতাব। কুরআনে অবতীর্ণ স্বয়ং আল্লাহ্ তা'আলার বক্তব্য থেকেই বুঝা যায় যে, এর ওহীসমূহ দু'টি স্বতন্ত্র ধাপে নাযিল হয়েছে। কুরআনের ওহী অবতীর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়া বর্ণনা করার জন্য কুরআন ও সুন্নাহতে যেসব পরিভাষা ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যকার আপাত সঙ্ঘাতসমূহকে দূরীভূত করতে হলে এ দু'পর্যায়ের ওহীকে অনুধাবন করা অত্যন্ত জরুরী।

আপাত সঙ্ঘাত বলতে বুঝাচ্ছি যে, একদিকে কুরআনের ব্যাপারে বলা হয় যে, এর পুরোটাই রমজান মাসে অথবা লাইলাতুল ক্বদরে নাযিল হয়েছ; আবার এ কথাও বলা হয় যে, এটি খণ্ড খণ্ড আকারে নবী (সা) এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নাযিল হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ের ওহী

ওহী নাযিলের প্রথম এ পর্যায়ে আল্লাহ্ কুরআনকে লাওহে মাহফুজ থেকে নিম্নতম আকাশে অবতীর্ণ করেছেন। এ ওহীতে কুরআনের সবটুকু একসাথে নিম্নতম আকাশের 'বাইতুল ইজ্জাহ' নামক স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। লাইলাতুল ক্বদরের বরকতময় রাতে তা অবতীর্ণ হয়; আর তা হলো রমাদান মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রির একটি। ওহীর এই পর্যায়কে আল্লাহ্ তা'আলা নিম্নোক্তভাবে উল্লেখ করেছেন-
'হা-মীম। এই সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ। আমি এটিকে এক বরকতময় রাতে নাযিল করেছি; নিশ্চয় আমি সাবধানকারী।' -[সূরা আদ দুখান, আয়াত: ১-৩]
তিনি আরো বলেন-
'নিশ্চয় আমি কুরআনকে লাইলাতুল কদরে নাযিল করেছি।' -[সূরা আল ক্বাদর, আয়াত: ১]
এসব আয়াতের উদ্দেশ্য হলো প্রথম পর্যায়ের ওহী। কারণ এটি সুবিদিত যে, নবী মুহাম্মদ (সা) এর নিকট সমগ্র কুরআন এক রাতেই নাযিল হয়ে যায়নি।

দ্বিতীয় পর্যায়ের ওহী

তারপর নিম্নতম আকাশ থেকে জিবরীল (আ:) কুরআনের বিভিন্ন অংশ মুহাম্মদ (সা) এর নিকট নিয়ে এসেছেন। তাঁর নবুওয়াত জীবনের তেইশ বছর যাবৎ ওহীর এ প্রক্রিয়াটি অব্যাহত ছিল। সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত দিয়ে এ ওহীর সূচনা হয়। তবে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ যে সূরাটি নাযিল হয়, তা হলো সূরা আল ফাতিহা। দ্বিতীয় স্তরের ওহীকে আল্লাহ্ নিম্নোক্তভাবে বর্ণনা করেছেন-
'আর কুরআনকে আমি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তুমি ধীরে ধীরে তা লোকদের সামনে পাঠ করে শোনাতে পারো; আর আমি একে নাযিল করেছি ধারাবাহিকভাবে।' -[সূরা আল ইসরা, আয়াত: ১০৬]


 প্রাসঙ্গিক বিষয়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ