আল্লাহ তা'আলা বলেন,
তুমি তাদের কাছে দু ব্যক্তির উদাহরণ বর্ণনা কর। আমি তাদের একজনকে দু'টি আঙ্গুরের বাগান দিয়েছিলাম এবং ওগুলোকে খেজুর গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত করেছিলাম এবং এ দু' এর মাঝখানে করেছিলাম শস্যক্ষেত্র। উভয় বাগানই ফলদান দিত এবং তা থেকে কিছুই হ্রাস করত না এবং উভয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমি নহর প্রবাহিত করেছিলাম। লোকটির উৎপাদন ছিলো প্রচুর।
তুমি তাদের কাছে দু ব্যক্তির উদাহরণ বর্ণনা কর। আমি তাদের একজনকে দু'টি আঙ্গুরের বাগান দিয়েছিলাম এবং ওগুলোকে খেজুর গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত করেছিলাম এবং এ দু' এর মাঝখানে করেছিলাম শস্যক্ষেত্র। উভয় বাগানই ফলদান দিত এবং তা থেকে কিছুই হ্রাস করত না এবং উভয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমি নহর প্রবাহিত করেছিলাম। লোকটির উৎপাদন ছিলো প্রচুর।
অতঃপর কথা প্রসঙ্গে সঙ্গীকে বলল, আমার ধন-সম্পদ তোমার চাইতে বেশী এবং জনবলে আমি অধিক শক্তিশালী। এভাবে নিজের প্রতি জুলুম করে সে তার বাগানে প্রবেশ করল। সে বলল, আমার মনে হয় না যে, এ বাগান কখনও ধ্বংস হয়ে যাবে। এবং আমি মনে করি না যে, কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। যদি কখনও আমার পালনকর্তার কাছে আমাকে পৌঁছে দেয়া হয়, তবে সেখানে এর চাইতে উৎকৃষ্ট পাব। তার সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বলল, তুমি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, অতঃপর র্পূনাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে? কিন্তু আমি তো একথাই বলি, আল্লাহই আমার পালনকর্তা এবং আমি কাউকে আমার পালনকর্তার শরীক করব না। তুমি যখন তোমার বাগানে প্রবেশ করলে তখন একথা কেন বললে না; আল্লাহ যা চেয়েছেন (তাই হয়েছে), আল্লাহ ব্যতীত কারো কোন শক্তি নেই। যদিও তুমি আমাকে ধনে ও সন্তানে তোমার চাইতে কম দেখ, আশাকরি আমার পালকর্তা আমাকে তোমার বাগান অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর কিছু দান করবেন এবং তার (তোমার বাগানের) উপর আসমান থেকে কোন বিপদ প্রেরণ করবেন। অতঃপর তা শূন্য ময়দানে পরিণত হবে।
অথবা তার পানি শুকিয়ে যাবে। অতঃপর তুমি কক্ষণো তার খোঁজ পাবে না। অতঃপর তার সব ফসলাদি ধ্বংস হয়ে গেল এবং সে তাতে যা ব্যয় করেছিল তার জন্য সকালে হাত কচলিয়ে আক্ষেপ করতে লাগল। তা ছিন্ন-ভিন্ন অবস্থায় ভূমিসাৎ হয়ে গিয়েছিল। সে বলতে লাগল, হায়! আমি যদি কাউকে আমার পালনকর্তার সাথে শরীক না করতাম। আল্লাহ ছাড়া তাকে সাহায্য করার মতো কোন দলবলও ছিল না, আর সে নিজেও এ বিপদের মোকাবিলা করতে সক্ষম ছিল না। এরূপ ক্ষেত্রে কর্ম সম্পাদনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে ন্যস্ত, যিনি সত্য। তারই পুরস্কার উত্তম এবং তারই প্রদত্ত প্রতিদান শ্রেষ্ঠ। -[সূরা আল কাহাফ, আয়াত: ৩২-৪৪]
কতক তাফসীরকার বলেন, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। বাস্তবে এমনটা ঘটেই ছিল তা নাও হতে পারে। তবে জমহুর তাফসীরকারের অভিমত এই যে, এটি একটি বাস্তব ঘটনা। -[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ২য় খন্ড]
0 মন্তব্যসমূহ