Ticker

5/recent/ticker-posts

কুরআনের আলোকে প্রিয়নবী মুহা’ম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম



প্রিয়নবী মুহা’ম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে ক্বুরআনুল কারীমের কয়েকটি আয়াতের তর্জমা

_______________________________

(১) মহান আল্লাহ নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের উপর অনেক বড় দয়া ও অনুগ্রহ করেছেন, এবং তাঁকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিয়েছেন। এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ের জ্ঞান (আল্লাহর পক্ষ হতে) তাঁকে দেওয়া হয়েছিলো, যে ব্যাপারে তিনি অবহিত ছিলেন না।

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে নবী) আল্লাহ আপনার প্রতি কিতাব ও হিকমাহ (প্রজ্ঞা) নাযিল করেছেন, এবং আপনি যা জানতে না, তা আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন। আর আপনার প্রতি আল্লাহর মহা অনুগ্রহ রয়েছে।” সুরা আন-নিসাঃ ১১৩।

_______________________________

(২) নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন আল্লাহ তাআ’লার প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসুল, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা। সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল-ক্বুরআনুল কারীম তাঁর উপর নাযিল করা হয়, এবং ক্বুরআনের মতোই অতিরিক্ত হিসেবে তাঁকে হিকমাহ (জ্ঞান, প্রজ্ঞা) নামক সুন্নাহ দান করা হয়েছিলো। তবুও আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যে আল্লাহর কাছে দুয়া করতে আদেশ করেছিলেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে নবী) আপনি বলুনঃ হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।” সুরা ত্বোয়া হাঃ ১১৪।

একটু চিন্তা করে দেখুন, বর্তমান যুগে যখন ফেতনা-ফাসাদ ও পাপাচার চতুর্দিক থেকে ব্যপকতা লাভ করেছে, সেখানে আমাদের মতো দুর্বল মুমিনদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুয়া করা কতটা জরুরী!

_______________________________

(৩) কাফের ও মুশরেকরা নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এমন দাবী উত্থাপন করেছিলো যে, “আপনি আমাদের মাবূদগুলোর ব্যাপারে একটু নম্রতা প্রকাশ করুন, (অর্থাৎ আমাদের দেব-দেবীগুলোকে মিথ্যা বা বাতিল বলে প্রত্যাখ্যান করবেন না), তাহলে আমরাও আপনার ব্যাপারে নম্রতা অবলম্বন করবো।” কিন্তু বাতিলের ব্যাপারে শিথিলতা অবলম্বন করলে এর ফল হবে এই যে, বাতিলপন্থীরা তাদের বাতিলের পূজা ছাড়তে গড়িমসি করবে। হক্ক প্রচারের ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করা নবুওতী দায়িত্ব পালনের জন্য বড়ই ক্ষতিকর। এজন্যে আল্লাহ তাআ’লা নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে সতর্ক করে বলেছিলেন, “সুতরাং আপনি (ঐ সমস্ত কাফের-মুশরেক) মিথ্যাবাদীদের কথা মেনে নিবেন না। তারা তো এই চায় যে, আপনি তাদের প্রতি নমনীয় হন। তাহলে তারাও আপনার প্রতি নমনীয় হবে।” সুরা আল-ক্বলমঃ ৮-৯।

_______________________________

(৪) নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তাআ’লা কিছু জিনিস চাওয়া ছাড়াই দিয়েছেন। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কোন পাপ কাজ করার পূর্বেই আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়ার অগ্রীম ঘোষণা করেছেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে নবী!) আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।” তাওবাহঃ ৪৩।

_______________________________

(৫) সাহাবীরা এবং তাঁদের অনুসরণে পরবর্তী যুগের নিষ্ঠাবান মুমিনরাও রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁদের নিজেদের প্রাণের চাইতেও বেশি ভালোবাসতেন। আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বিবিগণ এই উম্মতের প্রত্যেক নারী ও পুরুষের জন্যে মায়ের মতো সম্মানিত। একারণে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রীদের কাউকে বিয়ে করা হারাম ছিলো। রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের বিবিগণ যেমন রাসুলের স্ত্রী ছিলেন এই দুনিয়াতে, ঠিক তেমনি আখেরাতেও তাঁরা তাঁর স্ত্রী হিসেবেই থাকবেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “নবী মুমিনদের নিকট তাদের (নিজেদের) প্রাণ অপেক্ষাও অধিক প্রিয়, আর তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মায়ের মতো।” সুরা আল-আহজাবঃ ৬।

_______________________________

(৬) প্রিয়নবী মুহা’ম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের উপর নাযিলকৃত ক্বুরআনুল কারীমের ১১৪টি সুরার মাঝে সবচাইতে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সুরা হচ্ছে সুরা আল-ফাতিহাহ, যার মাঝে সাতটি আয়াত রয়েছে। এই সুরাটির অর্থ ও গুরুত্বের কারণে একে ‘উম্মুল কিতাব’ বা ক্বুরআনের জননী বলা হয়। এই সুরাটি নামাজে, অসুস্থ অবস্থায় ঝাড়ফুঁক করতে এমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বারবার পাঠ করা হয়, একারণে এই সুরাটিকে ‘সাবউ মাসানী’ বলা হয়। সুরা ফাতিহা এমন একটি সুরা, যার সমান মর্যাদা সম্পন্ন সুরা তাওরাত, যাবুর, ইনজিল, এমনকি ক্বুরআনুল কারীমেও নেই। এই বিশেষ সুরাটি এতো মর্যাদাপূর্ণ সুরা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিলকৃত আল্লাহর এই মহা নেয়ামতের কথা নবীকে আল্লাহ ক্বুরআনেও স্বরণ করিয়ে দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে নবী!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে দিয়েছি বারবার পাঠ করা হয় এমনি সাতটি আয়াত এবং মহা ক্বুরআন।” সুরা হিজরঃ ৮৭।

_______________________________

(৭) আল্লাহ তাআ’লা নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে “মাকামে মাহমুদ” বা প্রশংসিত স্থান দান করেছেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে নবী!) আপনি রাত্রির কিছু অংশে (ক্বুরআন পড়ার মধ্য) দিয়ে তাহাজ্জুদের (নামায) পড়ুন; এটা আপনার জন্য একটি নফল ইবাদত (অতিরিক্ত কর্তব্য)। আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে) প্রতিষ্ঠিত করবেন।” সুরা বনী ইসরাঈলঃ ৭৯।

মাকামে মাহমুদ অর্থ হচ্ছেঃ সেই স্থান, যা কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে দান করবেন। সেই স্থানে সিজদায় পড়ে তিনি আল্লাহর অসীম প্রশংসা বর্ণনা করবেন। অতঃপর আল্লাহ জাল্লা শানুহ বলবেন, “হে মুহাম্মাদ! আপনি মাথা তুলুন, আপনি কি চান বলুন, আপনাকে তা দেওয়া হবে। আপনি সুপারিশ করুন, (আপনার সুপারিশ) কবুল করা হবে।” তখন নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সেই বড় সুপারিশটি করবেন, যার পর বিচারের মাঠে মানুষের ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়ে চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ গ্রহণ করা আরম্ভ হবে। উল্লেখ্য, এই আয়াতে আশা করা যায় দ্বারা নিশ্চিত অর্থ বহন করে।

_______________________________

(৮) আল্লাহ তাআ’লা কখনো সম্পূর্ণ অলৌকিক উপায়ে আবার কখনোবা পার্থিব কিছু উপায়-উপকরণ দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিরাপত্তা বিধান ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছিলেন। পার্থিব বাহ্যিক উপকরণের মধ্যে ছিলো, আল্লাহ তাআ’লা নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা আবু তালেবের অন্তরে নবীর প্রতি প্রকৃতি ও স্বভাবগত ভালোবাসা দান করেছিলেন। যেকারণে আবু তালেব নিজ বংশীয় নের্তৃত্ব, মর্যাদা ও প্রভাব দ্বারা তাঁর প্রাণপ্রিয় ভাতিজার নিরাপত্তা বিধান ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে থাকেন। আবু তালেবের মৃত্যুর পর আল্লাহ তাআ’লা কুরাইশদের মধ্যে কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ (যেমন আবু বকর, উমার, উষমান, আলী, হামযাহ, প্রমুখ…আল্লাহ তাঁদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন), তাঁদের মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে মদীনার আনসারগণের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করেছিলেন। এছাড়াও কাফের মুশরেকদের আকস্মিক আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য সাহাবীদের মধ্য থেকে অত্যন্ত বিশ্বস্ত এমন একজন বা দুইজন সবসময় নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের দেহরক্ষীর হিসেবে পাহাড়ায় নিযুক্ত থাকতেন। কিন্তু আল্লাহ তাআ’লা যখন এই নাযিল করেছিলেন, “আল্লাহ আপনাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন।” সুরা আল-মায়ি’দাহঃ ৬৭।

এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বাহ্যিক সুরক্ষা ব্যবস্থা (দেহরক্ষী বা পাহারাদার) নিয়ে চলাফেরা করা বন্ধ করে দেন। কারণ, স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে রক্ষা করার ওয়াদা করেছিলেন, সুতরাং তখন তাঁর আর দেহরক্ষীর কোন প্রয়োজন থাকলোনা।

_______________________________

(৯) জিবরাঈল আ’লাইহিস সালাম যখন ওয়াহী নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আসতেন ও তাঁকে ওয়াহী শুনাতেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তা ভুলে যাওয়ার আশংকায় জিবরাঈল আ’লাইহিস সালাম-এর তেলাওয়াতের সাথে সাথে তিনিও দ্রুত জিহবা নাড়িয়ে তা পড়ার চেষ্টা করতেন। আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে এমন করতে নিষেধ করেন আর প্রথমে ওয়াহী মনোযোগ দিয়ে শোনার আদেশ করেন। কারণ ওয়াহী মুখস্থ করানো ও অন্তরে স্থান করে দেওয়ার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তাঁর নিজের জিম্মায় নিয়েছিলেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “আল্লাহ অতি মহান, সত্য অধীশ্বর। আপনার প্রতি আল্লাহর ওয়াহী (প্রত্যাদেশ) সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি ক্বুরআন পাঠে তাড়াতাড়ি করবেন না।” সুরা ত্বোয়া হাঃ ১১৪।

আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেছেনঃ “ওয়াহী দ্রুত মুখস্থ করার জন্য আপনি আপনার জিহবা (জিবরাঈলের তেলাওয়াতের) সাথে সাথে দ্রুত সঞ্চালন করবেন না। নিশ্চয় ওয়াহী সংরক্ষণ করা ও সেটা (আপনাকে সঠিকভাবে) পাঠ করাবার দায়িত্ব আমারই। সুতরাং, আমি যখন ওয়াহী (জিব্রাঈলের মাধ্যমে) পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন। অতঃপর, নিশ্চয় সেই ওয়াহী ব্যখ্যা করার দায়িত্ব আমারই।” সুরা ক্বিয়ামাহঃ ১৬-১৯।

_______________________________

(১০) আল্লাহ তাআ’লা ক্বুরআনুল কারীমে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনো তাঁর নাম “হে মুহাম্মদ” বলে সম্বোধন করে ডাকেন নি, যেমন তিনি অন্য নবীদের নাম ধরে ডেকেছেন। উদাহরণ স্বরূপ, আল্লাহ তাআ’লা যখন আদম আ’লাইহিস সালামকে ইবলিস শয়তানের ব্যপারে সতর্ক করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেনঃ

“অতঃপর আমি বললাম, হে আদম! এই (ইবলীস) তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতরাং, সে যেন কিছুতেই তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করে না দেয়, দিলে তোমরা কষ্ট পাবে। তোমার জন্য (জান্নাতে) এই (নেয়ামত) থাকল যে, তুমি জান্নাতে কখনো ক্ষুধার্ত হবে না এবং নগ্নও হবে না। সেখানে কখনো পিপাসার্ত হবে না এবং রোদ্রে কষ্টও পাবে না।” ত্বোয়া হাঃ ১১৭-১১৯।

অনুরূপভাবে, আল্লাহ তাআ’লা যখন মুসা আ’লাইহিস সালামের সাথে তুওয়া উপত্যকায় সরাসরি কথা বলেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেনঃ “হে মুসা! নিশ্চয় আমি হচ্ছি তোমার প্রতিপালক, অতএব তুমি তোমার জুতা খুলে ফেল, কারণ তুমি পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় রয়েছ। আমি তোমাকে (রাসুল হিসেবে) মনোনীত করেছি; অতএব যেই ওয়াহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করা হচ্ছে, তুমি তা মনোযোগের সাথে শ্রবণ কর। নিশ্চয় আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া আর কোন (সত্য) উপাস্য নেই; অতএব তুমি শুধুমাত্র আমারই ইবাদত কর, এবং আমাকে স্মরণ করার জন্য নামায কায়েম কর।” সুরা ত্বোয়া হাঃ ১১-১৪।

আল্লাহ তাআ’লা ইয়াহইয়া আ’লাইহিস সালামকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “হে ইয়াহইয়া! এই কিতাব (তাওরাতকে) তুমি দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ কর।” সুরা মারইয়ামঃ ১২।

এমনিভাবে আল্লাহ তাআ’লা ক্বুরআনে অন্যান্য নবীদেরকে তাঁদের নাম ধরে সম্বোধন করলেও আমাদের নবীর ক্ষেত্রে তিনি কখনো তাঁর নাম ধরে ডাকেন নি। বরং, সব সময় তাঁর নামকে রিসালাত দ্বারা সম্বোধন করে “হে নবী” অথবা “হে রাসুল” বলে ডেকেছেন।

যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “হে রাসুল! আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে (ওয়াহী বা ক্বুরআন ও হাদীস), আপনি তা (মানুষের মাঝে) প্রচার করুন। আপনি যদি তা না করেন, তাহলে তো আপনি তাঁর বার্তা প্রচার করলেন না।” সুরা আল-মাইয়িদাহঃ ৬৭।

আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেন, “হে নবী! আপনি কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হন। তাদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে জাহান্নাম, আর তা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তন স্থল!” সুর তাহরীমঃ ৯।


[সংগৃহীত]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ