Ticker

5/recent/ticker-posts

কুরআনের আলোকে ইহুদীদের পরিচয়


আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা সূরা জুমু'আহতে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন ইহুদিদের - তোমরা তো দাবী করো তোমরা আল্লাহর প্রিয়পাত্র - তাহলে এই কষ্টকর দুনিয়াতে আর থাকা কেন - নিজের মৃত্যু কামনা করো।


বল, হে ইয়াহুদীগণ! যদি তোমরা মনে কর যে, অন্য সব লোককে বাদ দিয়ে তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। -[সূরা আল জুমুআহ, আয়াত: ৬]


তারপরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেছেন, কখনও ইহুদিরা মৃত্যু কামনা করবে না।


খেয়াল করে দেখেন ইহুদিরা মক্কার মুশরিকদের মতো কিয়ামাত এবং আখিরাতে অবিশ্বাসী ছিল না।


আখিরাতে বিশ্বাসী, আল্লাহর প্রিয়পাত্র কেউ মরতে চায় না কেন?


কেন এত টাকার আয়রন ডোম?

কেন এত ফিলিস্তিনিকে মারা লাগে সেলফ ডিফেন্সের নামে?


কারণ, সে জানে সে মিথ্যা দাবী করছে। সে জানে তাওরাতে কী আছে আর সে কী করে।

ইহুদিরা জানে তারা তাঁদের নিজেদের নবীদের মেরে ফেলেছে।

এরা এখনও শিশুদের মারছে, নারীদের মারছে।


এরা জানে এদের আখিরাত ফাঁকা - সেখানে আল্লাহর কাছে পুরষ্কার পাওয়ার মতো কোনো কাজ এরা করেনি। এদের আমলের খাতায় পাপ আর পাপ। হত্যা আর গণহত্যা।


কুরআন মূলত পড়ে মুসলিমরা। ইহুদিদের চরিত্র সেখানে আলোচনা করা হয়েছে নানা কারণে।


হয়তো কোনো এক মুসলিম এই আয়াতের অনুবাদ পড়ে আবিষ্কার করবে - সে আদতে ইহুদিদের মতো। লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে হলেও সে কেবলি এই দুনিয়াতে বাঁচতেই চায় - মরার পরের দুনিয়ার জন্য তার সঞ্চয় নেই কিছুই।


এই আমাদের জন্য আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত একটা হাদিস খুব গুরুত্বপূর্ণ।


নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেলো যে, সে জিহাদ করেনি এবং মনে জিহাদের আকাঙ্খাও রাখেনি, তবে সে মুনাফিক্বী অবস্থায় মারা গেলো।


[সুনানে আবু দাউদ ২৫০২, সহীহ]


আমরা বিভিন্ন কারণে জিহাদ করতে পারছি না, কিন্তু জিহাদের ইচ্ছাও অন্তরে রাখি না - এই মুনাফিকি আমাদের অন্তরের বড় একটা ব্যাধি।


আমাদের অন্তরের বড় একটা রোগ হচ্ছে আমরা ইহুদিদের মতো ভাবছি - আমরা মুসলিম বলে দাবী করি যেহেতু কয়েকদিন জাহান্নামের আগুনে পুড়ে জান্নাতে তো যাবোই - কাজ যাই করি না কেন।

অথচ কালিমার দাবী পূরণ না হলে মানুষ জান্নাতে যেতে পারবে না।


বিশেষ দ্রষ্টব্য:


মুসলিমদের জন্য মৃত্যু কামনা করা নিষিদ্ধ। কারণ সে যদি ভালো মানুষ হয় তবে সে তার ভালো আমলের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে নিতে পারবে। আর যদি সে খারাপ মানুষ হয় তবে সে তওবা করে আল্লাহর কাছে মাফ নিতে পারবে।

[সহীহ বুখারী ৭২৩৩]


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের ইহুদিদের মতো হওয়া থেকে হিফাজাত করুন।


[Collected from: Sharif Abu Hayat Opu]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ