বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপদস্থ কর, তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। -[সূরা আল ইমরান, আয়াত: ২৬]
এই আয়াতে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলাই সমস্ত পৃথিবীর অধিপতি। আল্লাহ তা'আলাই যাকে ইচ্ছা সম্রাজ্য প্রদান করেন এবং যার নিকট হতে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নেন। আল্লাহ যা চাননা তা হতে পারে না। আর এটা বিশ্বাস করা প্রতিটা মুমিনের জন্য অপরিহার্য।
এই আয়াতে ঐ নিয়ামতের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নির্দেশ রয়েছে যা রাসূল (সা) এর উম্মাতকে দান করা হয়েছে। তা এই যে, বানী ইসরাঈল হতে নবুওয়াত ছিনিয়ে নিয়ে মাক্কার নিরক্ষর, কুরাইশী আরাবী নাবী মুহাম্মাদ (সা) কে প্রদান করা হয়েছে। আর তাঁকে নবীগণের সমাপ্তকারী এবং সমগ্র জাহানের রাসূল করে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তী আয়াতেও আল্লাহর অসীম ও একচ্ছিত্র ক্ষমতার কথা প্রকাশ পেয়েছে। যা কোন রাজা-বাদশা কিংবা মিথ্যা ক্ষমতার দাবিদার কারো পক্ষে কখনো সম্ভব না। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন-
(বলুন) তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আনো এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের করো। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করো। -[সূরা আল ইমরান, আয়াত: ২৭]
অর্থাৎ দিন-রাতের আবর্তন, জীবিতকে মৃত্যু দিয়ে তাকে পুনরায় জীবিত করা এবং রিজিকের ফায়সালা করা সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়।
তথ্যসূত্র:
- তাফসীর ইবনে কাছীর
2 মন্তব্যসমূহ
জাজাকাল্লাহ খাইরান
উত্তরমুছুনজাযাকাল্লাহু খইরান
উত্তরমুছুন