Ticker

5/recent/ticker-posts

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে যেসব বিষয়াদি

 
মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়। -[সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৪]

আল্লাহ্ তা'আলা পার্থিব জীবনকে বিভিন্ন প্রকারের উপভোগ্য বস্তু দ্বারা সুশোভিত করেছেন। এসব জিনিসের মধ্যে সর্বপ্রথম নারীদের কথা বর্ণনা করেছেন। কেননা তাদের অনিষ্ট সবচেয়ে বড়। বিশুদ্ধ হাদিসে রয়েছে রাসূল (সা) বলেন:
আমি আমার পরে পুরুষদের উপর নারীদের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর ও ফিতনা ছেড়ে গেলাম না। - (ফাতহুল বারী ৯/৪১)
অন্য এক হাদিসে রয়েছে:
দুনিয়া একটি উপকারের বস্তু এবং এর সর্বোত্তম উপকারী জিনিস হচ্ছে সতী সাধ্বী স্ত্রী।

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, স্ত্রীদেরকে ভালোবাসার মধ্যে মঙ্গলও রয়েছে এবং অমঙ্গলও রয়েছে।        

এছাড়া উপরের আয়াতে বর্ণিত লোভনীয় বস্তুগুলোর সবই একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের সন্তান-সন্ততি, ধন-সম্পদ সবকিছুকেই একদিন বিদায় জানাতে হবে। তাই এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরকালকে ভুলে থাকা হবে চরম বোকামি। কারণ আমাদের শ্রেষ্ঠতম অবস্থানস্থল ও উত্তম বিনিময় প্রাপ্তির জায়গা মহান আল্লাহর নিকটই রয়েছে। যেমনটি তিনি পরবর্তী আয়াতেই বলেন:
বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো? যারা পরহেজগার, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে রয়েছে বেহেশত, যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত, তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন।
অর্থাৎ আমরা যখন দুনিয়ায় প্রতি মোহগ্রস্ত না হয়ে আল্লাহর দ্বীন মেনে চলবো তখন আমরা এই দুনিয়ার চেয়ে উত্তম পুরস্কার পাবো। আর তা হবে অনেক আকর্ষনীয়, অনেক পরিচ্ছন্ন এবং অনেক কল্যাণকর।


তথ্যসূত্র:
  • তাফসীর ইবনে কাছীর    
      

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ