Ticker

5/recent/ticker-posts

যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক

مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ

'যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক' -(সূরা ফাতিহা, আয়াত- ৪)


কুরআনুল কারীমে আরো বর্ণিত হয়েছে-
'আজ রাজত্ব কার? শুধুমাত্র মহাশক্তিশালী এক আল্লাহরই'। -(৪০: ১৬)
'আজকে আল্লাহই রাজ্যের অধিকারী এবং আজকের দিন কাফিরদের জন্য কঠিন দিন'। -(২৫: ২৬)

মহান আল্লাহর এ উক্তি অনুসারে কিয়ামতের দিনের সঙ্গে তাঁর অধিকারকে নির্দিষ্ট করার অর্থ এই নয় যে, কিয়ামত ছাড়া অন্যান্য জিনিসের অধিকারী হতে তিনি অস্বীকার করেছেন । কেননা ইতিপূর্বে তিনি স্বীয় বিশেষণ 'রাব্বুল আলআমিন' বর্ণনা করেছেন এবং ওর মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই জড়িত রয়েছে।


কিয়ামতের দিনের সঙ্গে অধিকারকে নির্দিষ্টকরণের কারণ এই যে, সেদিন তো আর কেউ সার্বিক অধিকারের দাবীদারই হবে না, বরং সেদিন আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কেউ মুখ পর্যন্ত খুলতে পারবে না। কুরআনুল কারীমে বর্ণিত রয়েছে-

'প্রাণী, ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া কেউ কথা বলতে পারবে না, সে কথাও ঠিক ঠিক বলবে'। -(৭৮:৩৮)

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সেদিন তার রাজত্বে তিনি ছাড়া আর কেউ থাকবে না, যেমন দুনিয়ার বুকে রূপক অর্থে ছিলো।

আল্লাহর প্রশংসায় রহমান ও রহীম শব্দ ব্যবহার করার পর তিনি প্রতিদান দিবসের মালিক একথা বলায় এখান থেকে এ অর্থও প্রকাশিত হয় যে, তিনি নিছক দয়ালু ও করুণাময় নন বরং এই সঙ্গে তিনি ন্যায় বিচারকও। আবার তিনি এমন ন্যায় বিচারক যিনি হবেন শেষ বিচার ও রায় শুনানীর দিনে তিনিই পরিপূর্ণ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মালিক। সেদিন তিনি শাস্তি প্রদান করলে কেউ তাতে বাধা দিতে পারবে না এবং পুরস্কার দিলেও কেউ ঠেকাতে পারবে না। [তাফহীমুল কুরআন]

উমার ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 'তোমাদের হিসাব নিকাশ গ্রহণ হওয়ার পূর্বে তোমরা নিজের হিসাব নিজেই গ্রহণ করো, তোমাদের কার্যাবলী দাড়ি পাল্লায় ওজন করার পূর্বে নিজেরাই ওজন করো এবং তোমরা আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে সেই বড় উপস্থিতির জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করো। যেদিন তোমাদের কোন কাজ গোপন থাকবে না।' যেমনটি কুরআনুল কারীমে রয়েছে-

'যেদিন তোমাদেরকে হাযির করা হবে সেদিন তোমাদের কোন কথা আল্লাহর নিকট গোপন থাকবে না।' -(৬৯:১৮)


তথ্যসূত্র:

  • তাফসীর ইবনে কাছীর
  • তাফহীমুল কুরআন


প্রাসঙ্গিক লিখা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ