Ticker

5/recent/ticker-posts

কুরআন হিফয্ করার পাঠ পরিকল্পনা



সবার মেধার কথা মাথায় রেখেই পাঠ পরিকল্পনাগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু এমন অনেকে আছেন যাদের মুখস্থ ক্ষমতা বেশ মন্থর গতির।


অন্যদিকে আবার অনেকেরই এই মুখস্থ ক্ষমতা অসম্ভব রকমের ভাল। তো যাদের, মুখস্থ শক্তি তুলনামূলক কম তারা একদিনের পাঠ পরিকল্পনা, একদিনেই সম্পন্ন না করতে পারলে তা দু'দিনে সমাপ্ত করবেন।


আবার, যাদের মেধাশক্তি বেশ ভাল, তারা দু'দিনের পাঠ পরিকল্পনা একসাথে একদিনে সম্পন্ন করবেন। অন্যরা প্রতিদিনকার পাঠ পরিকল্পনাগুলো, প্রতিদিনের মধ্যেই শেষ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবেন।


হিফয-যাত্রায় প্রত্যহ মুখস্থ করার পরিমাণের ভিত্তিতে হাফিয/হাফিযা হবার দিনক্ষণ—

.

*১ আয়াত—১৭ বছর ৭ মাস ৯ দিন।

*২ আয়াত—৮ বছর ৯ মাস ১৮ দিন।

*৩ আয়াত—৫ বছর ১০ মাস ১৩ দিন।

*৪ আয়াত—৪ বছর ৪ মাস ২৪ দিন।

*৫ আয়াত—৩ বছর ৬ মাস ৭ দিন।

*৬ আয়াত—২ বছর ১১ মাস ৪ দিন।

*৭ আয়াত—২বছর ৬ মাস ৩ দিন।

*৮ আয়াত—২ বছর ২ মাস ১২ দিন।

*৯ আয়াত—১ বছর ১১ মাস ১২ দিন।

*১০ আয়াত—১ বছর ৯ মাস ৩ দিন।

*১১ আয়াত—১ বছর ৭ মাস ৬ দিন।

*১২ আয়াত—১ বছর ৫ মাস ১৫ দিন।

*১৩ আয়াত—১ বছর ৪ মাস ৬ দিন।

*১৪ আয়াত—১ বছর ৩ মাস।

*১৫ আয়াত—১ বছর ২ মাস ১ দিন।

*১৬ আয়াত—১ বছর ১ মাস ৬ দিন।

*১৭ আয়াত—১ বছর ১০ দিন।

*১৮ আয়াত—১১ মাস ১৯ দিন।

*১৯ আয়াত—১১ মাস ১ দিন।

*হাফ পাতা—৩ বছর ৪ মাস ২৪ দিন।

*এক পাতা—১ বছর ৮ মাস ১২ দিন।

*দুই পাতা—১০ মাস ৬ দিন।


এর মানে আপনি যদি দৈনিক ২৪ ঘন্টায় ১ টি আয়াতও অন্তত মুখস্ত করতে পারেন,তাহলে আপনার হিফয সম্পন্ন হতে ১৭ বছর ৭ মাস ৯ দিন লাগবে।


না, এভাবে প্রতিদিন করতে হবে সেটা বলছি না। তবে করলে ব্যাপারটা কেমন হতো, সেটা দেখতে অনুরোধ করছি।


আমরা করতে পারব না, সময় নেই, করব না, করার কী দরকার—ইত্যাদি করতে করতে হয়ত আরও ২০ বছর চলে যাবে, এভাবেই। যেখানে আছি, সেখানেই আমরা থেকে যাব হয়ত।


কিন্তু, মুখস্থ শুরু করলে, সামনের বছরগুলো কীভাবে যেতে পারত, সেটা শুধু একবার ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।


কত সামান্য পদক্ষেপ ২০ বছর পর কত অসামান্য পরিবর্তন আনতে পারত, সেটাও ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি। অনুরোধ করছি ভেবে দেখতে যে, এই গত বছরও যদি আমরা খুব সামান্য একটি পদক্ষেপ নিতে পারতাম—দিনে অথবা সপ্তাহে একটি করে আয়াত মুখস্থ করার, তাহলে আজকে আমরা আমাদের হৃদয়ে কতগুলো আয়াতই না ধারণ করতে পারতাম!


আর, আজও যদি খুব ছোট্ট একটি সংকল্প করে এগিয়ে যাই, তাহলে? যে অনুভূতির কথা ভাবতেও এত আনন্দ লাগে, সেটা বাস্তবায়িত হলে কেমন লাগবে? আর, তার প্রতিদান নিজের রবের কাছ থেকে নেয়ার সময়ের অনুভূতিটাই বা কেমন হবে?


খুব অল্প করে হলেও, আমরা কি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব না?


সময়ের চেয়েও সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো : আমাদের নিয়তটা। আমরা কি আসলেই নিয়ত করে চেষ্টা করছি!


আপনি খাস নিয়ত+চেষ্টা করেও পারলেন না,এর আগে মারা গেলেও মহান আল্লাহ তায়ালা তো আপনার নিয়ত জানেনই। উনি কি পারেন না! আপনার নিয়ত অনুযায়ী সব সওয়াব+নেক ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে!


নিয়তের ফজিলতঃ

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেন- আমার বান্দা যখন কোনো পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না, যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে তবে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে (আল্লাহর ভয়ে অন্যায়) ত্যাগ করে, তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসাবে লিখ।আর যদি সে নেকি (ভালো কাজ) করার ইচ্ছা করে কিন্তু তা সে করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসাবে লিখ। অতপর যদি সে তা (কাজটি) করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাত শ’ গুণ পর্যন্ত লিখ। (বুখারি, মুসলিম)


তাহলে ইন শা আল্লাহ নিয়ত করেছেন তো!!


সবাই অন্তত ৩০তম পারাটা টা মুখস্ত করুন। কারণ দৈনিক নামাজের মধ্যে আমরা এখান থেকে অনেক সূরাহ পড়ে থাকি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ