Ticker

5/recent/ticker-posts

বিশ্বাসীদের জন্য সু-সংবাদ


"আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে।" -(সূরা বাকারাহ, আয়াত: ২৫)

এখানে মুমিন ও সৎলোকের প্রতিদান ও সম্মান হিসেবে জান্নাতের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

জান্নাতের তলদেশ দিয়ে নদী বয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে তার বৃক্ষরাজী ও অট্টালিকার নিম্নদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া। হাদীস শরীফে আছে যে, তথায় নদী প্রবাহিত হয়, কিন্তু গর্ত নেই। অন্য হাদীসে আছে যে, কাউসার নদীর দু'ধারে খাঁটি মুক্তার গম্বুজ আছে, তার মাটি হচ্ছে খাঁটি মৃগনাভি, তার কুচি পাথরগুলো হচ্ছে মনি-মুক্তা ও অতি মূল্যবান পাথর।

ইয়াহ্ইয়া বিন কাসীর (রহ:) বলেন যে, এক পেয়ালা আসছে তা সে খাবে, আর এক পেয়ালা আসলে বলবে, 'এটা তো এখন খেলাম'। ফেরেশতারা বলবেন: 'খেতে থাকুন, বরং এক হলেও স্বাদ আলাদা'। অর্থাৎ দুনিয়ার ফলের সঙ্গে নামে ও আকারে সাদৃশ্য থাকবে, কিন্তু স্বাদ হবে পৃথক।

রাসূলুল্লাহ বলেনঃ “মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস প্রস্তুত রেখেছি, যা কোন চক্ষু দর্শন করেনি, কোন কর্ন শ্রবন করেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার; যার অর্থ- “কেউই জানে না তার জন্য তার কৃতকর্মের বিনিময় স্বরূপ নয়ন-প্রীতিকর কী পুরস্কার লুকিয়ে রাখা হয়েছে। (সূরা সাজদাহ- ১৭)" - [সহীহুল বুখারী- ৩২৪৪, ৪৭৭৯,৪৭৮০]

আর জান্নাতে মুমিনরা যেসব স্ত্রী পাবে তার মলিনতা, অপবিত্রতা, মাসিক-ঋতু, প্রস্রাব, পায়খানা, থথু ইত্যাদি হতে সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।

আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: 'তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।' -(সূরা আর রহমান: ৫৬)


তথ্যসূত্র:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ