Ticker

5/recent/ticker-posts

রসূলুল্লাহ্ (সা) এর নবুওয়াত লাভ এবং এ সম্পর্কে কয়েকটি পূর্বাভাস

মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক বলেন, অনেক ইহুদী পণ্ডিত, নাসারা গণক এবং আরবের অনেকে আবির্ভাবের আগেই রসূলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে বলাবলি করতেন যে, তাঁর আগমনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। ইহুদী ও নাসারা পণ্ডিতগণ তাদের কিতাবসমূহে বর্ণিত রাসূল (সা) এর গুণাবলী ও তাঁর আগমন কালের বিবরণ এবং তাদের নবীদের প্রতিশ্রুতি থেকে বিষয়টির ব্যাপারে অবহিত হতে পেরেছিলেন। যেমনটি আল্লাহ্ তা'আলা বলেন-

যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়। তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। কাজেই যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং তার সাথে অবতীর্ণ আলোর অনুসরণ করে তারাই সফলকাম। -[ক্বুরআন ৭ : ১৫৭]
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদারত দেখবে। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সিজদার চিহ্ন। তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও। তাদের অবস্থা যেন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন। -[ক্বুরআন ৪৮ : ২৯]

সহীহ্ বুখারীতে ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আল্লাহ্ যত নবী প্রেরণ করেছেন, তাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, যদি মুহাম্মদের আবির্ভাব ঘটে আর তখন তিনি জীবিত থাকেন, যেন অবশ্যই তিনি মুহাম্মদ (সা) এর প্রতি ঈমান আনয়ন করেন এবং তাঁকে সাহায্য করেন। আর প্রত্যেক নবীকে আল্লাহ্ এই নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তাঁরা নিজ নিজ উম্মাত থেকে এই অঙ্গীকার নিয়ে রাখেন যে, যদি মুহাম্মদের আবির্ভাব ঘটে আর তারা তখন জীবিত থাকে যেন তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনে এবং তাঁকে সাহায্য করে এবং তাঁর অনুসরণ করে।

আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান, অতঃপর তোমাদের নিকট যা আছে তার সমর্থক কোন রসূল যখন তোমাদের নিকট আসবে, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম। -[ক্বুরআন ৩ : ৮১]

অর্থাৎ প্রত্যেক নবীই মুহাম্মদ (সা) এর ব্যাপারে সুসংবাদ প্রদান করেছেন এবং তাঁর আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ