Ticker

5/recent/ticker-posts

ফিরআউন ও তার বাহিনীর ধ্বংসের বিবরণ

মূসা বলল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি ফেরাউন ও তার সর্দারদেরকে পার্থব জীবনের আড়ম্বর দান করেছ, এবং সম্পদ দান করেছ, হে আমার প্রতিপালক! এ কি এ জন্য যে, তারা মানুষকে তোমার পথ থেকে বিপথে সরিয়ে দেবে? হে আমার প্রতিপালক! তাদের ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দাও এবং তাদের অন্তরগুলোকে কঠিণ করে দাও যাতে করে তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান না আনে যতক্ষণ না বেদনাদায়ক আযাব প্রত্যক্ষ করে নেয়। আল্লাহ জবাবে বললেন, "তোমাদের দু’জনের দোয়া কবুল করা হলো। তোমরা দু’জন অবিচল থাকো এবং তাদের পথ অনুসরণ করোনা যারা কিছুই জানে না। -[ক্বুরআন ১০ : ৮৮-৮৯]

উপরোক্ত আয়াতে একটি বিরাট অভিশাপের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলার শত্রু ফিরাউনের বিপক্ষে মূসা (আ) আল্লাহ্ তা'আলার আযাব অবতীর্ণ হবার জন্য বদদু'আ করেন। কেননা, সে সত্যের অনুসরণ ও আল্লাহ্ তা'আলার সহজ-সরল থের বিরোধিতা করত এবং অসত্যকে আঁকড়ে ধরেছিল।

তাফসীরকারকগণ এবং আহলি কিতাবের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বনী ইসরাঈল তাদের ঈদের উৎসব পালনের উদ্দেশ্যে শহরের বাইরে যাবার জন্য ফিরাউনের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করলে ফিরাউন অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদেরকে অনুমতি প্রদান করে। তারা বের হবার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগল এবং পুরোপুরি তৈরী হয়ে গেল। প্রকৃতপক্ষে এটা ছিল ফিরাউন ও তার সম্প্রদায়ের সাথে বনী-ঈসরাইলের একটি চালাকি মাত্র, যাতে তারা ফিরাউন ও তার সম্প্রদায়ের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তি পেতে পারে।

আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে। অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল। -[ক্বুরআন ২৬ : ৫২-৫৩]
যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম। মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন। অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল। আমি সেথায় অপর দলকেও পৌঁছিয়ে দিলাম। মূসা ও তার সমস্ত লোককে যারা তার সঙ্গে ছিল আমি উদ্ধার করলাম, অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে। -[ক্বুরআন ২৬ : ৬১-৬৭]


তথ্যসূত্র: আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১ম খণ্ড



প্রাসঙ্গিক বিষয়


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ